Header Ads

বন্ধুত্ব থেকে জীবনসঙ্গী। অনেক সুন্দর একটি প্রেম কাহিনী love story Bangla

 

Love story Bangla

অচেনা মেয়ের সাথে কথা বলবি কেন? যদি তোরে নিয়ে

যায়। আমি হো হো হো করে হেসে বললামঃ তুই আসলেই

একটা পাগলী। তারপর থেকে ও আমাকে কোনো মেয়ের

সাথে দেখলে আমার উপর অনেক রাগ করে প্রয়োজন হলে

ধমক দেয়। বাসা থেকে বের হয় না। ফোন অফ করে দেয়।

আদিবার এসব পাগলামো দেখে একদিন আমিও তার

প্রেমে পড়ে যাই। মনের মধ্যে একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে

আদিবা কি আমাকে ভালোবাসে নাকি শুধুই পাগলামি?

আমি দুটানায় পড়ে গেলাম তাই সাহস করে কোনোদিন

বলতে পারিনি কারণ যদি ভুল বুঝে। আদিবা কি আমাকে

সত্যি সত্যি ভালোবাসে নাকি শুধু বন্ধু ভাবে। তারপর

একদিন আমি অভিনয় করে বললামঃ আদিবা বাসা থেকে

আমার বিয়ে ঠিক করে ফেলছে। মেয়েটা ইন্টার ফার্স্ট

ইয়ার বলতে পারলাম না তার আগেই আমার পাশ থেকে

উঠে চলে যেতে লাগলো। আমি একটু দৌড়ে গিয়ে হাতটা

ধরলাম। আদিবার আমার দিকে ফিরতেই দেখলাম রাগে

চোখমুখ লাল হয়ে গেছে আবার কাঁদছেও আমি হাসতে

হাসতে বললামঃ পাগলী এতক্ষণ আমি যা বলছি সবটুকু

ছিলো অভিনয়। দেখলাম তুই আমাকে ভালোবাসিস কি

না। তারপর আদিবা আরো রেগে তেলে বেগুনে জ্বলে

উঠলো আর বললোঃ এসব নিয়ে অভিনয় করলি কেন কুত্তা?

বলতে বলতে আমায় জড়িয়ে ধরে বাচ্চা পোলাপানের মত

কাঁদতে লাগলো। আমি বোকার মত হা করে এদিক ওদিক

তাকিয়ে রইলাম আর দেখলাম কেউ দেখছে কি না।

আশেপাশে তো কাউকেই দেখা যাচ্ছে না। তারপর

আমিও আদিবাকে জড়িয়ে ধরে বললাম আমি তোকে

অনেক অনেক ভালোবাসি।

.

আমার আর আদিবার ফ্যামিলির ওরা জানে আমরা

দুজনেই শুধু বন্ধু তাছাড়া আর কিচ্ছু না। কিন্তু কখন যে দুজন

দুজনকে ভালোবেসে ফেলছি জানি না। আমার প্রতি

আদিবার ভালোবাসা দেখে আমিও তাকে ভালোবেসে

ফেলছি। আমি বুঝে গেছি আমার লাইফে এমন একজনকে

দরকার। আর সেটা হলো আদিবা। মেয়েরা যাকে একবার

সত্যিকারে ভালোবাসে তাকে ছাড়া জীবনে আর

কাউকে ভাবতেই পারে না। জীবন সঙ্গী করলে একমাত্র

তাকেই করবে।

.

এইভাবে আমার আদিবার সম্পর্ক আরো গভীর হতে

লাগলো। একটা সময় আদিবার ফ্যামিলি থেকে

আদিবাকে জোর করে বিয়ে দিতে চাইলো কিন্তু আদিবা

তো আমাকে ছাড়া আর কাউকে বিয়ে করবে না। একদিন

আদিবা আমাকে ফোন দিয়ে কাঁদোকাঁদো স্বরে বললোঃ

জাহিদ আমি তোকে ছাড়া আমার জীবনে আর কাউকে

জায়গা দিতে পারবো না। প্লিজ তাড়াতাড়ি কিছু একটা

কর। আদিবার কথা শুনে আমার চোখেমুখে অন্ধকার

দেখছি। বেশ অসহায়ের মত বললামঃ তুই কোনো চিন্তা

করিস না আমি দেখতেছি। এইভাবে দেখতে দেখতে

আরো ৩ দিন কেটে গেলো। কোনো ব্যবস্থা করতে

পারলাম না। একদিন রাতে আমি আর মেঘলা ফাজলামো

করছিলাম ঠিক সেই মুহূর্তে আদিবা আমার সামনে কাপড়

গুছানো ব্যাগ নিয়ে উপস্থিত। আদিবাকে দেখে বুঝা

যাচ্ছে মেয়েটা মা-বাবাকে ছেড়ে একেবারে আমার

কাছে চলে আসছে। এখন যদি আমি ফিরিয়ে দেই তাহলে

তার একটাই পথ থাকবে আত্মহত্যা। আমি সবকিছু

বিবেচনা করে দেখলাম বিষয়টা আমার মা-বাবাকে

জানানো উচিত। তাই আদিবাকে নিয়ে মা-বাবার সামনে

গেলাম। গিয়ে সবকিছু বুঝলাম। আর সন্তানের কথা মা-

বাবা কখনো ফেলবে না এই আশ্বাস নিয়ে আসছি। প্রথমে

মা-বাবা একটু আশ্চর্য হলেও পরে সব ঠিকঠাক। কাল

সকালে মা-বাবা গিয়ে আদিবার মা-বাবার সাথে কথা

বলবে।

.

সকালে মা-বাবা গিয়ে আদিবার পরিবারের সাথে কথা

বললো। প্রথমে রাজি না হলেও পরে অবশ্য রাজি হয়ে

যায়। আজকে যদি আমি আমার মা-বাবার কাছে না

গিয়ে আদিবাকে নিয়ে পালিয়ে যেতাম তাহলে দুই

পরিবারের মানসম্মান মাটির সাথে মিশে যেতো। এতে

হয়তো আমার মা-বাবা হার্ট এট্যাক না করলেও আদিবার

পরিবারের কেউ করতো। ছেলেমেয়ে পালিয়ে গেলে

ছেলের চাইতে মেয়ের বাবার মানসম্মান বেশি যায়।

এরকম ভুল অনেকেই করে। কমপক্ষে একবার হলেও মা-

বাবাকে জানানো উচিত তারা যদি না মেনে নেয়

তাহলে যেতে পারেন। মা-বাবা কখনো সন্তানের কথা

ফেলবেন না।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.